সূত্র
তীরের দাপট গেঁথে তুলে অসাধ্যের দালান
দূর নিকটবর্তী হলে ওঠে আসে পথিকের পায়ের ছাপ;
ক্রমে দৃষ্টি খোঁজে অবরুদ্ধের ইতিহাস
সূত্র সন্ধানী হয় গীতিময় জীবন আশায়
অতঃপর গভীর ঝিমুনিগুলোই তখন দাঁড়াবার পথ পায়।
ডোবার রহস্য
ডোবায় থই থই করছে কৈ
ডোরার চারপাশ কাঁটার ফলন
ঝুপঝাপ ব্যাঙের আনন্দ ভরা পেটে ও পিঠে নরুণের আঁচড়
যেন তা পৌঁছে না অনুভবের দরোজায়।
ডোবায় ছিল একটি গর্ত
গর্তের গা জুড়ে শর্তের ছড়াছড়ি
সকালে ঘুমোবে ব্যাঙ
বিকেলে ছায়ামূর্তি-
এই হলো ডোবার যৌবন
যার পেটে জল, ক্ষুধা আসমান সমান।
বিষাক্ত লালা
এই যে শিলায় শিলায় খসে পড়া বৃষ্টির পৃষ্ঠ
সেই নেতানো পৃষ্ঠেই শুনি প্রচণ্ড আকুতি।
মূক হয়ে বসে থাকা রাতের চোয়াল বেয়ে
অহেতুক ওঠানামা করা গিরগিটি
শোনাতে চায় স্মিত এক ইতিহাস-
যার লালায় কেউ হাতড়ে ফেরে রং;
রঙের পর্দা, রং মাখা অভিনয়।
অন্বেষণ
ভেসে আসে অসংখ্য শব্দের মিছিল
মৃত নদীতে উদ্দাম ঝড় তুলে।
স্বপ্নবানে জর্জরিত একদল যান্ত্রিক গতি
সবুজকে ছুঁড়ে ফেলে দৈন্যদাহে।
সময়ের বুক চিড়ে গড়ে ওঠে নতুনের সংসার
নিঃস্ব কেবল বোধের বিশ্বাসী কোল।
ব্যাধি
ব্যাধি আক্রান্ত অভ্যাসগুলো ঝুলছে সোনালুলতায়
পাঁজরে তাই অভ্যাসের ছায়া।
ছায়ার হাটে উড়ে চলে কেউ নিঃশব্দ জোনাকির মতো
সাথে কেবল একঝাঁক অন্ধকার।
ব্যাধিগুলো আরো গাঢ় হলে
অভ্যাস সুখ খোঁজে;
তারপর মুখ গোঁজে
সুখের শস্যদানায়।