অযোধ্যায় নামছে চাঁদ
অনেকটা দুধক্ষীরের মতো
প্রাচীন সন্ধ্যা তুমি কি দৃশ্য
তখনো ধর্মশালার
নাচো পাতায় আলোর মনোহর আর নিধি সব
অবিন্যস্ত ফুল, ফল
ও একশো যোজন পথ
ভুলে গেছি সুন্দর কাণ্ড
যেখানে ভিন্ন, যে ছিলো বীর হনুমান
—————————————————————————–
অশোককাননের দক্ষিণে রঙের সবুজ থেকে
কেমন একা হয়ে আসছে
সময়ের ঝন ঝন
সন্ধ্যার সঙ্গম
কিংবা সীতার প্রেমমুখী পরশন
হয়তো জমানো গান হতে দূরে নয়
পঞ্চবটী বন
যে রাবণ করেছিলো জটায়ূর পক্ষচ্ছেদন
কতদূর এগুলে সে বলেছিলো
অপহরণ বাড়ি ফিরে চল
ভঙ্গ করিস না, দুঃখ মূলত আত্নক্ষরণ
———————————————————————————
মহেন্দ্র পর্বত শীর্ষে, ওগো সূর্য
ঠেকিয়ে দিয়েছো রোদ
মায়াজাল অদৃশ্যমান সীমান্ত পেরিয়ে
পবন পুত্র হনুমান
এমন করে কারে ধরা দেও
এটুকু ঝিনুকালয়, সমুদ্রবেলায়
একটা লঙ্কা অসম্ভব চারপাশ!
তবু তো সীতা
প্রিয় ফুল লঙ্কার
——————————————————————————
আরো নুয়ে পড়া গোদাবরী নদী
তীরে পাখি, শব্দটি শোনার
মুছে ফ্যালা বনের ধুলায়
স্বর্ণমৃগ এক
জড়িয়েছে কি মায়াবি রাক্ষস
মারীচ তবে নিশ্চয়
ভেতরে শোন, আরো লতাপাতা
প্রভাহীন ফুলের ভাজ
এ ক্রমশ বনসন্ধ্যা ভরে আছে
এ বেলায়, পুড়া ভূমি, শূর্পনখা আর ভাতৃদ্বয়
———————————————————————————
মেঘেরা পাপড়ির মতোন
জড়িয়ে ধরেছে আকাশ
বুঝি আজ! পথে পথে লব, কুশ
ক্লান্তির অধিক গান বয়ে যায়
রামায়ণ-
মনে রাখা বা না রাখার অনুতাপে
এ সন্ধ্যা জোড়া গেঁথে আছে হাজার মাইল
অতীব বইছে নদী সরযূ সুষমায়
রামের আত্মবিসর্জন-