গাছগুলা না কাটলে হয় না
অনেক তো দিলাম
আরো চাও তো আরো দিবো।
নদী দিলাম বন দিলাম পোয়াতি খেত দিলাম
গতর নিলা জোর কইরা।
অবশেষে মাথাও দিলাম।
গাছগুলা না নিলে হয় না!?
এক প্রাণের ভিতর কত প্রাণের নিঃশ্বাস।
সব তো নিয়া গেছো,
শ্যাওলা ধরা গাছগুলার ছায়াটুকু থাক।
পূর্বপুরুষ এই ছায়ার বন্দনা করসে নাতিদীর্ঘকাল
তোমার নিঃশ্বাসও এই ছায়ার সাক্ষী।
কত বৃষ্টি আর রইদে ছায়ার সাক্ষী হয়া দাঁড়াইছো এইসকল বৃক্ষতলে।
ঋণ শোধানোর দরকার নাই।
সেই ক্ষেমতাও তোমাগো নাই।
চাও তো আরো দিবো পায়ের তলার মাটি দিবো
উজাড় কইরা দিবো সর্বস্ব।
একবুক নিঃশ্বাস নিয়া সকাতরে বলি,
গাছগুলা না কাটলে হয় না!
শীতকালের আগুন একান্নবর্তী হয়
পাতার কুয়াশা, ভারি হয়ে ঝরে শীতের চালে
তেমনি রাত ভারী হয়ে ঝরে, একাকীত্বের অন্ধকারে।
যে নারী বালিশে মুখ লুকিয়ে হঠাৎ যুবতী হয়ে যায়,
তার দুই স্তনের মাঝে নির্জনে নিরাকার রাত, নিঃসঙ্গ হয়ে পরে।
একই রাত খুব দীর্ঘ আবার কখনো খুব ক্ষুদ্র হয়ে যায়।
শীতকালের রাতগুলো স্বপ্নবর্তী হয়
ফসল-কাটা মাঠে নাইট কুইন, মাইকের ভাঙা সুর…
সেই সুর গাঢ় হলে, শরীর নক্ষত্রের ছবি আঁেক শরীরে।
শীতকালের আগুন একান্নবর্তী হয়
উষ্ণতা শিকারী সবার ঝোলার ভিতর ছড়িয়ে পড়ে আগুনের ওম।
চারদিকে ঘন মানুষ আরো ঘন হয়ে আসে,
মাঝখানে আগুন সত্যের মতো হাসে।
তোমার নির্জন আগুন স্পর্শ করে জেনেছি
আগুন কেবলি হাসে
আর কুয়াশা কান্না জমিয়ে রাখে।
আমার এইরূপ মনে হয়
চুল রঙ করার দোকানে গেসিলাম।
অনেক মানুষ চুলে রঙ কইরা বয়স
আর বিষন্নতাকে চোখ-টিপি দিয়া বাড়ি ফিরা আসে।
বাড়ি, গাড়ি, টিনের আলমারি, দেয়াল রঙ করার মতোই,
চুলের রঙমিস্ত্রি ব্রাশ টেনে চুলে রঙ করে।
কেউ কেউ দাড়িতেও রঙ লাগায়।
জেনেভা ক্যাম্পের একজনকে চিনতাম,
যে চুলে সবুজ রঙ করসিলো।
সবার দৃষ্টি আকর্ষণের সুপ্ত আগ্রহ সবারই থাকে।
যারা কোন কিছুতে পারে না, তারা চুলে অথবা পোশাকে দৃষ্টি কাড়তে চায়।
কারন এটাই সহজলভ্য।
আমার এইরূপ মনে হয়, মনে হইতেই পারে
চুল রঙ কইরা সময়ের উপর নজরদারি করে মানুষ।
আসলে সময়, সাদা আর কালোই থাকে।
নজরদারি বা কড়ি কোন কিছুতেই তার কিছু যায় আসে না।
আমার এইরূপ মনে হয়, মনে হইতেই পারে
যে কারিগর খুব মনোযোগে অন্যের চুল রঙ করে।
সে নিজের চুল রঙ করার কোন তাগিদ অনুভব করে নাই।
সাদা আর কালো নিয়াই সে ঘুরাঘুরি করে।
আমার এইরূপ মনে হয়, মনে হইতেই পারে