আশ্চর্য পাখির ডানা
এই মরণ দূরদেশ!
আমাকে সাজিয়ে দাও-
একটি পার্পেল পাখির পালকে
যেন এই ঘুটঘুটে অন্ধকারের ভেতর
পাতারা বাজাচ্ছে তার সেতার
আর আমার মুখ-
গেঁথে আছে গাছে গাছে
যে সুরের কোনো দিক নেই-
কিংবা কোনো কলহ!
যতোই চিৎকার করি-
কোনো ভাষাই ফুটে না আর
এ কেমন দেশ!
এ কেমন মায়া!
পথ ও পাথরের উপর প্যারালাল পাঁপড়ি-
তার সব টিউনিং আছড়ে ফেলেছে।
সে ছিলো ভুল বাড়ি-
ভুল বিলাপ
তবুও ফুলের অবয়বে ফুটেছে-
একটি মেয়েমানুষ
ছোট্ট সে বসন্তে!
তার পিঙ্গল চোখ, চয়ন-
বিবিধ বাতাসে ভরা দেহ
বহু লগ্ন বেয়ে দূরে একাকী
কাকে কী বলেছে-
কে জানে!
সে ভাষা কী বর্তুল?
সে ভাষা কী বিহ্বল?
আমাকে বাতাসে ভাসিয়ে দাও-
আর টুকরো টুকরো যতো ইশারা
আমি দেখছি-
তাতেই উড়ে যাচ্ছি…
আমার ভেতর এক আশ্চর্য পাখির ডানা।
ঋতু
অনিবার্য এই ঋতু!
আমি ছোট্ট হয়ে আসছি-
যেন মালা থেকে একটি পুঁতির হৃদয়
ছুঁড়ে ফেলা হলো-
এবং আমাকে
উড়িয়ে নিয়ে গেলো আকাশ।
দূরে,বহুদূরে-
এইসব গণনা করে কে?
ফের বসন্ত আসে-
যে হাওয়ায় ডুবে থাকে বীজ
উৎফুল্ল গাছের ভেতর
তোমার মুখ-
আমি দেখছি…
একটি সোনার রিং পড়ে বসে আছো-
মৃদু আলো-মৃদু অন্ধকারে।
মুহূর্ত
আমার কথা আটকে যায়!
বলছিলাম, কেউ তাকে ধরে আছে-
যেন আমার গলা ফেটে বের হবে একটি পদ্ম ফুল।
তাকে বলেছিলাম-
ধরে রাখো এই উন্মাদনা
ধরে রাখো এই কম্পন
ধরে রাখো আমার চুল
একদিন এই গভীর ঘরটায় শব্দ হবে-
হাল্কা এবং ভারি
যতোসব তোমার অলংকার
সোনা আর রূপায় বাঁধা।
সে মূহুর্ত, পাগলের ঘড়ি-
কাটায় কাটা মিলেমিশে একাকার!
দূরে, যেখানেই বাগান-
সেখানেই এলোমেলো পাখির ঝাঁক
তারা সকলেই আমার নামে অঙ্কিত
শুধু কালো পাখিটাই সবচেয়ে আলাদা!
আমার গলার ভেতর-
তোমার নাম ডেকে ডেকে
চক্ষু লাল করে বসে আছে।
নিরাপত্তা
নিরাপত্তার কথা বলো না-
ওটা আমার নাই
নিজের কাছেই নিজের নাই
ধরো, এক অন্ধ-
গান গাইছে
তুমি শোনছো তো?
দেখো বসন্ত খুব ছোট
যেমন আমার জীবন!
কালো-
রাতের পর রাত
আমি ঘুমিয়ে কাটাচ্ছি
আর তোমার পোশাকে ঢাকা আকাশ
চুমকি ছড়াচ্ছে
আমি অন্ধ-
নিরাপত্তা নাই
তুমি চাইলে ছুটে পালিয়ে যেতে পারো
দূরে, বহুদূরে…
অনঙ্গ
আমার তাই হলো-
তিনি যা চাইলনে।
আমি জন্মালাম
আমি ভালোবাসলাম
আমি মারা গেলাম
তিনি যা চাইলনে-
তাই তো হলো।
এবং আমি আমার-
আত্মা নিয়ে উড়তে থাকলাম
একটি পাখি মতো
দূরে, অনঙ্গ বাহানায়।
যেন নিজের দিকে তাকালেও
তোমাকেই দেখতে পাই।