দিগন্তে লালের ছোবল
রেলধার, জমজমাট ঘনবসতির
মানি এরকমি ছিলো অনিবার্য
চিরকাল- বর্ষময়
তখনো, পৃথিবীর অভিমুখে জুনমাস
যায় যায়….
মাটি একটা শ্লেট
শিশুটি আঁকছে অতিক্রম
এখানেই তার, চোখজুড়ে
সমগ্র নিখিল
দূরে ডাকছে কিশোরী, মায়াবিজড়িত
অবিরল- ভাই ভাই সুমধুর
বুকে যেভাবে জড়ায়, প্রথম স্পন্দন
বিকল ট্রেন বিকল, ধীরলয়
ছায়ার নিচে বয়ে যায়
নিদারুণ পতাকার রঙ
মনোভাব- যদি ভাবি
ফুটে থাকা এসকল ফুলের রেণু
মাতাল হলেই মোহময়, আর বাসি
ঝরাবাহক নিরত মরণ এক!
ঝরা ভেবে ঝরে যাচ্ছে পাহাড়ে
কারো নামের নামে ফুল
পাতার লম্বিত চোখ
পোকারা খেয়ে গেছে আংশিক সবুজ
তবুও পাতার সাথে পাতা
রেখাগুলো গাছ
ছায়ায় জমে আছে বাড়িটার কিছু শোক
তবে কোথাও কী আকাশ
তাপবিকিরণে ঝুলে আছে স্থির
যেন এই দুপুরের শেষভাগ
ছিঁড়ে গেছে ফড়িঙ ডানায়
হলুদ গাঁদার গরিমায়
তোমাকে আজ নীলান্ত দিলাম
দিলাম সমুদ্র প্রদেশ
তুমি হও, হও তুমি দুপুরযাত্রায়
হাওয়ার সাথে তুলোর প্রেম
কোন অজান্তে চলে যাও
ঘাম যেভাবে গড়ায় বেয়ে শরীর
অন্ধকারে জোনাকিরা যেমন চাঁদ
গাড়িটার মুখের হেডলাইটে
অনেকটাই ভাবছি সূর্যের ঘূর্ণিপাক
অনন্ত আলোকের তারারা ভেসে ওঠেছে
ইহকাল বুঝি মৃত্তিকার ক্ষুর
যার সুরে সুরে মানুষ কেটে যায়
যেখানে নিশ্চল-
আকাশ অবিকল, কত টলমল
নয় পতনে অমন
তার দিকে তাকিয়ে আমি
কতবার নমিত হই, স্বস্থানে
দূরে পাখিরা প্রপাত! শুধু প্রেম
আমি দেখি-
ভাঙাগড়া এক অমেয়
প্রতিটা দেখার পর
আসি ফিরে ফুরানে গানের মতো
নিয়ে অবদমন
দালান কোঠায় আটকে আছে
আকুল স্মৃতি, সন্ধ্যার অ্যাপার্টমেন্ট
কেমন আছো পড়বেসী?
জড়িয়ে জানালার পর্দায় আরো অবিন্যস্ত
আলো পিকসেল
এই ঘর, এই সংসার
এখনো কী চুলে মাখো
সুগন্ধি তেল?
গন্ধরাজ, যেমন লালবাগ ক্যামিকেল
জগততো খুল্লাম খুল্লাম
এখানে একটা জনমের ভিতর
আমি যতবার উচ্ছন্নে গেলাম
ততবার তুমি নও সবিতাসম্ভব
নও মেহেরবান
গাড়ির সাইরেন বাজতাছে
অনতিক্রম্য-
এ্যাম্বুলেন্সে কী বিদায়ের সুর?
ও রাত আরেকটা ঘোরগ্রস্ততার
নোটিশ ঝুলিয়ে দাও, প্লিজ
গোলাপেরা অদ্যাবধি ফুটুক
লোকালয়ে প্রেমিকাদের ঠোঁটের মতো
আলো জ্বলজ্বল
কাঁপে ছায়া, ঘর থেকে ঘর
এতটা নিবিড়
বিড়ির সাথে প্রেম আমার
শহরের সাথেও জারি থাক
এইসব ছাইপাসে
আমি হতে চাই খুন
পারিনা, ভেতরে কম কম ঘুম
অথচ আঁচড়ে হরিণ
জেগে থাকে নিয়ে দলবল
কেবল নিজের মাংসের জন্যে
হবে বলে খুন
একটা পাগল রক্তজবা কানে গুজে
পথে পথে হাঁটছে
পুলকিত দিলে যে দৃষ্টি হয়
তা আসলে কোন দিকে যায়?
কে জানে, কে আছে এমন
আমি চুপ হয়ে যাই
কথার বিড়বিড়ে পাগলকেই মানাচ্ছে
জ্যােতির্ময়
চাঁদ ছাড়া লাইটপোস্ট
প্রতিবিম্বে কতটা বড় হয়
এখন জগত কত অন্ধকারময়
কতটা? যতটা কী অধীর কামারশালায়
আগুনে নাচে লোহা
অতি পারঙ্গম
রাস্তাগুলো দিকভ্রান্ত, রাস্তাগুলো ধকলভাঙা
ডিকবাজিতে নেমে আসছে
এবং রাত্রি
ঘর ঘিরে ফেলছে আমায়
অগম্য বোধের এইসব প্রকারে
নিজেকে বরং অলস জানি
এগারটা পনের, দাঁড়িয়ে আছে কতকিছু
মুখোমুখি-
ওয়েট এন্ড সি
আর অন্ধকারে পিলখানার কলোনিটাকে
লাগছে বহুপুরাতন-